স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলব এ ঘোষণা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে একযোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর এ ঘোষণা দিলেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট গোলব বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্লোভেনিয়ার সরকার। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে। আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন) পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি হবে।
গাজায় সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইসরাইল সরকারে ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ এই পদক্ষেপ।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবেন।
তিনি বলেন,
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির বিষয়টি স্লোভেনিয়ান পার্লামেন্ট অনুমোদন পেলেতা হামাসকে পুরস্কৃত করা হবে। আমি আশা করছি স্লোভেনিয়ান পার্লামেন্ট সদস্যরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।
গত ২৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যদেশের মধ্যে সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও বুলগেরিয়া আগেই এই স্বীকৃতি দিয়েছে। একই পথ অনুসরণ করার ঘোষণা দিয়েছে মাল্টাও।
এদিকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ফ্রান্স। গত ২৮ মে একযোগে ইউরোপের তিন দেশের স্বীকৃতি দেয়ার পরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ‘সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া কোনো নিষিদ্ধ বিষয় নয়। তবে তা উপযোগী একটি সময়ে দেয়া উচিত।