ইসরাইলে ‘বড় ধরনের’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রোববার (২৬ মে) এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শহরে ইসরাইলের সেনাবাহিনী সম্ভাব্য রকেট হামলার জন্য সতর্কতামূলক সাইরেনও বাজিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রোববার এক টেলিগ্রাম পোস্টে আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, ‘বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় রকেট হামলা করা হয়েছে।’ এদিকে হামাস আল-আকসা টিভি বলেছে, গাজা উপত্যকা থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে।
গত চার মাস ধরে তেল-আবিবে রকেট হামলার জন্য কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন শোনা যায়নি। যদিও কী কারণে সাইরেন বাজানো হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানায়নি ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের জরুরি চিকিৎসা সেবা কৃর্তপক্ষ বলেছে, তারা কোনো হতাহতের খবর পায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হামাসের এই হামলা ইঙ্গিত দেয় যে, আকাশ ও স্থল পথে ইসরাইলের সাত মাসেরও বেশি সময়ের বিধ্বংসী হামলা সত্ত্বেও এখনও তারা (হামাস) দূরপাল্লার রকেট ছুড়তে সক্ষম।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস। এতে দেশটির ১২০০ নাগরিক নিহত হন। এছাড়াও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার।