যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত তিন মাসে চাকরি ছেড়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এর ফলে কাজে যোগদান করা কর্মচারির সংখ্যা কমে যাওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট। অতীতে এত অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে চাকরি ছাড়তে দেখা যায়নি।
শ্রম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউইয়র্কে গত তিন মাসে চাকরি ছেড়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এতে একটা বিষয় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, কর্মজীবীরা নতুন চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আস্থাশীল। চাকরি ছাড়লে নতুন চাকরি পাবেন এমন নিশ্চয়তা থেকেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
এদিকে স্টেটের হিসাব মতে, বিভিন্ন সেক্টরে নিউইয়র্কে প্রায় ৫০ লাখ পদ এখন শূন্য রয়েছে। এসব পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোকুল ও সিটি মেয়র এরিক এডামসও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। লেবার ফোর্স বাড়ানোর জন্য তারা অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার জন্য ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কে চাকরি ছাড়ার পেছনে অন্য যুক্তিও রয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তথ্যমতে, নিউইয়র্কে জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ছেলেমেয়েদের ভালো পরিবেশ ও স্কুলে লেখাপড়ার করানোর ইচ্ছায় অনেকে নিউইয়র্ক ত্যাগের জন্য চাকরি ছাড়ছেন। তারা বেছে নিচ্ছেন দূরবর্তী স্টেট ও শহরগুলোকে। এর মধ্যে টেক্সাস ও ফ্লোরিডা অনেকের পছন্দ। অনেকে নিউইয়র্কের আলবেনি, বিংহ্যামটন, সিরাকুজ কিংবা রচেস্টরেও বসবাস করছেন।
ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক (বিএলএস) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ৫ লাখ ১০ হাজার নিউইয়র্কবাসী চাকরি ছেড়েছেন। ২০২৩ সালের এই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ছিল ৪ লাখের মতো।
বিএলএস আরও জানিয়েছে, পুলিশ অফিসার হিসেবে নিউইয়র্কে যারা কাজ করেছেন, অন্য স্টেটে যেতে তাদের উৎসাহ অনেক বেশি। অন্যান্য স্টেট ও সিটি নিউইয়র্কেও পুলিশ অফিসারদের উচ্চ বেতন ও পদ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পুলিশ অফিসার চাকরি ছেড়ে অন্য স্টেটে গিয়ে কাজ শুরু করেছেন।