mnp

বিদ্রোহীদের হামলা চালাচ্ছে, সরকারি কর্মীদের সরাচ্ছে জান্তা

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। রাজ্যটির কয়েকটি সেনা চৌকি দখলের দাবি করেছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এছাড়াও ভারত সীমান্তবর্তী আরো দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গোষ্ঠীগুলো। এ অবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোর সরকারি অফিস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার।

মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে গেলো কয়েক মাস ধরে জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের মধ্যে চলছে ব্যাপক সংঘর্ষ। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদ্রোহীদের হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা বাহিনী। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে একের পর এক ঘাঁটি হাতছাড়া হচ্ছে সেনাদের। রাখাইন, কাচিন রাজ্য, বাগো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানায়, কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি। গেল এক সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর রাজ্যটির ওয়াইংমও শহরের বেশিরভাগ সেনাঘাঁটি দখলে নেয়ার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। সেখান থেকে পালিয়ে গেছে মিয়ানমারের সেনারা। ওয়াইংমও ছাড়াও মোমাক, মানসি ও তানাই শহরের একশর বেশি সেনা চৌকি দখলে নেয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

এদিকে, আরাকান আর্মি হামলা জোরদার করায় দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোর সরকারি অফিস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার। বাসিন্দারা জানান, বড় বড় ট্রাকে করে সরকারি সব অফিস থেকে আসাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেশটির গণমাধ্যম জানায়, দক্ষিণের বেশ কয়েকটি শহর থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগেই সরে যাবার নির্দেশ দিয়েছে জান্তা সরকার।

অন্যদিকে ভারত সীমান্তবর্তী আরও দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সোমবার ইরাবতি জানায়, চীন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের সিখা ও টনজ্যং শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল আর্মি। অঞ্চলটিতে গেলো কয়েকদিন ধরে জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

Scroll to Top