ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রোববার (১৯ মে) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার নাম।
ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই ইরানে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে বলে জানা যায়।
রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে ইরানের অন্যতম বড় শহর মাশাদে। তার বাবা ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পবিত্র কুম শহরে এক মাদ্রাসায় যোগ দেন তিনি। শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই পশ্চিমা-সমর্থিত শাহ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেন রাইসি।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর রাইসি যোগ দেন দেশটির বিচার বিভাগে। বেশ কয়েকটি শহরে কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তেহরানের ডেপুটি কৌঁসুলি নিযুক্ত হন তিনি।
এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে দায়িত্ব। কখনো রাষ্ট্রীয় পরিদর্শক সংস্থার প্রধান হয়েছেন, আবার কখনো বিচার বিভাগের প্রথম উপ-প্রধান পদে নিযুক্ত হয়েছেন। ২০১৪ সালে ইরানের মহা কৌঁসুলি পদের দায়িত্বও পালন করেন রাইসি।
২০১৭ থেকেই নির্বাচনের মাঠে দেখা যায় তাকে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত ইরানিদের বিস্মিত করেছিল। যদিও সেই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান হাসান রুহানি।
তবে ওই পরাজয় রাইসির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারেনি। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তাকে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে রাইসি কিছু সংস্কার সাধন করেছেন, যার ফলে ইরানে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যাও কমে।
সবশেষ ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কট্টরপন্থি ধর্মীয় নেতা ইব্রাহিম রাইসি।