রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন সফরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বেইজিংয়ে অবস্থান করবেন তিনি। মঙ্গলবার এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উভয় দেশ।
এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, চলতি বছরের মার্চে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই ভ্লাদিমির পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। আর ছয় মাসের মধ্যে চীনে তার দ্বিতীয় সফর।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, এই সফরে পুতিন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ‘অভিন্ন স্বার্থ’ রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই নেতা তাদের বিস্তৃত অংশীদারত্ব ও কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে রুশ-চীনা সহযোগিতা কিভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা খুঁজে বের করার চেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন।
আলোচনার পর তারা একটি যৌথ ঘোষণাপত্রেও সই করবেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে পুতিন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন ও একটি বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রদর্শনী দেখতে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হারবিনে ভ্রমণ করবেন।
পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সিরিজ নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে চীনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পশ্চিমা সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। উল্টো উভয় দেশের মধ্যে ‘সীমাহীন অংশীদারত্ব’র প্রশংসা করেছে জিনপিং প্রশাসন।
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্ডার গাবুয়েভ এএফপিকে বলেন, পুতিন চান চীন রাশিয়াকে সমর্থন করার জন্য আরও বেশি কিছু করুক। কিন্তু চীন তা করতে অনিচ্ছুক, কারণ তারা পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।