ভারতে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।
সাধারণত তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে– এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি আসন পেয়েছে কম।
তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে।
ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও বিরোধীরা নানা অভিযোগ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বয়কটও হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের শরিক ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ লুটের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। ১৩ মে চতুর্থ দফায় ৯৬টি আসনে ভোট হবে।