ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে সমন্বয় করার জন্য রাশিয়ার সবচেয়ে সিনিয়র আইনপ্রণেতা ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। তার অভিযোগ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত।
সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ইউক্রেনের পক্ষে সামরিক অভিযানের সমন্বয় ও উন্নয়ন করে যুক্তরাষ্ট্র মূলত সরাসরি আমাদের দেশের (রাশিয়া) বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। যদিও এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কিয়েভকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করছে ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা। ফলে রুশ বাহিনী পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করতে সক্ষম হলেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে আরও করে ১৫ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার একটি প্যাকেজে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (৬ মে) নতুন এ প্যাকেজের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, রুশ সেনাদের হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা করার জন্য সাম্প্রতিকতম অস্ত্র সহায়তার ধারাবাহিকতায় কিয়েভকে এবার অতিরিক্ত কামান, রাডার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের সাহসী জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সমর্থন অব্যাহত থাকবে। কারণ তারা রাশিয়ার চলমান ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে নিজ দেশকে রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কামান, বিমান বিধ্বংসী স্টিংগার সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাংক জ্যাভলিন মিসাইল, গোলাবারুদ এবং সম্প্রতি ‘ঘোস্ট’ ড্রোনসহ ইউক্রেনে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের ‘যত অস্ত্র প্রয়োজন’, যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে সম্প্রতি জানান মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
রাশিয়াকে আরও বেশি অঞ্চল দখল করা এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত রাখতে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে। মস্কোর ‘আগ্রাসনকে’ যুদ্ধাপরাধ হিসেবেও চিহ্নিত করেছে ওয়াশিংটন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুলিভান বলেন, আমরা রাশিয়ানদের পরাজিত করার জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি, যাতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
এ ছাড়া রুশ অভিযান ঠেকাতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
সংবাদ সূত্রঃ আলজাজিরা