ইরানের হামলার শঙ্কায় ইসরায়েলে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গণজমায়েতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর টাইমস অব ইসরায়েল’র।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী সোমবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত এক জায়গায় ১ হাজার জনের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবেন না।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা থাকবে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সীমানা বেড়া এবং লেবানন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বর্তমানে আরও কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ আছে। এখন ইরানি হামলার শঙ্কায় পুরো ইসরায়েলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাসওভারের ছুটি চলছে। ফলে এগুলো এমনিতেই বন্ধ আছে। তবে শিক্ষা সফর, ক্যাম্পিংসহ আরও যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেগুলোও বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, তারা বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছে, ইরান কোনো বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালাবে না। ইরান মূলত ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটি এবং তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে যে কোনো সময় যে কোনো নির্দেশনা মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট লক্ষ্য করে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই হামলার জবাব দিতেই সরাসরি ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল