চলতি মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ভোট চেয়েছে ইসরাইলের আগ্রাসনের শিকার ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এই মাসে বিশ্ব সংস্থাটির পূর্ণ সদস্য করার জন্য ভোট দিতে হবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা।
যুগের পর যুগ ধরে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার প্রত্যাশা করে আসছে ফিলিস্তিন। বিশ্বের বড় বড় দেশ ও নেতাদের অনুরোধ করে আসছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। কিন্তু এখনও সেই মর্যাদা পাননি তারা। পরিবর্তে শুধুমাত্র জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে নিজ দেশে পরাধীন এই ভুখণ্ডকে।
গত সোমবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে চলতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের দাবি করেছেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের হার বৃদ্ধির মধ্যে এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন তিনি।
মনসুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী ১৮ এপ্রিল একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে ভোটের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনও পড়ে আছে। কারণ নিরাপত্তা পরিষদ কখনও ভোটের আয়োজন করেনি। আমরা এই মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের জন্য আবেদন করব।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে চলমান যুদ্ধের মধ্যে আবারও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমধানের মূল কথা হল- ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি অবস্থান করবে।
কোনও দেশকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ পেতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তা পরিষদের ছাড়পত্র লাগবে। নিরাপত্তা পরিষদ ছাড়পত্র দিলে বিষয়টি উঠবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট এই পরিষদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিলেই তবে ওই দেশটি জাতিসংঘে প্রবেশ করতে পারবে। তবে এর যেকোনও পর্যায়ে ভেটো দিতে পারে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: রয়টার্স, ডেইলি সাবাহ