তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জয়ের দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। খবর আল জাজিরা
নির্বাচনের পর রোববার (৩১ মার্চ) ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র (সিএইচপি) মেয়র প্রার্থী ইকরাম এমামগলু বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করেছেন।
ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু জানিয়েছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছে সিএইচপি দলীয় মেয়র মনসুর ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি।
এদিকে ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর বিরোধী সমর্থকেরা উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা নেড়ে ভোটের ফল উদযাপন করে।
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সারা দেশে তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কমেছে।
তিনি বলেন, এই ফল মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামোগলু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোয়ান ও তাঁর দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোয়ানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোয়ানের জন্য বড় আঘাত বিবেচিত হতে পারে। তিনি এই নগরীতে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠেন। ১৯৯০ এর দশকে এখানেই তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি এখানে জয়ের আশা করেছিলেন।
তুরস্কের প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটার ৮১টি প্রদেশের মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য অংশ নেয়।
এই জয়ের ফলে ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।