নজিরবিহীন এক প্রতিবাদের অসাধারণ এক স্বীকৃতি। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের প্রতিবাদে শরীরে আগুন দেয়া সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের সড়ক সেটি। গত রোববার সড়কটির নতুন নামফলকের উন্মোচন হয়। ফলকটি উন্মোচন করেন জেরিকোর মেয়র আবদুল করিম সিদর।
তিনি বলেন, কোনোভাবে ফিলিস্তিনের সাথে সংযুক্ত না থেকেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি যে ভালোবাসা তিনি দেখিয়েছেন, তা ভোলার নয়। যোজন যোজন দূরে থেকেও ফিলিস্তিনিদের কষ্ট অনুভব করেছেন তিনি। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক; কোনো দিক থেকে কোনো মিল না থাকলেও একটা দিক দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সাথে তার ভীষণ মিল– স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মানসিকতা। এসময় তার আত্মার শান্তিও কামনা করেন তিনি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর পোশাকে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে হাজির হন অ্যারন বুশনেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করছিলেন তিনি। সেখানেই ঘোষণা দেন, ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে চান না’। এরপর নিজের শরীরে আগুন দেন। এসময় তার উদগ্র আবেদন ছিল– ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই।’ গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।