পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি আসিফ আলি জারদারি। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন।
এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এই দফায় এই পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন পাখতুনখোওয়া মিলি আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান মাহমুদ খান আচাকজাই। আজ শনিবার (৯ মার্চ) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়।
৬৮ বছর বয়সী আসিফ আলী প্রেসিডেন্ট পদে নওয়াজ শরীফের পিএমএলএন এবং পিপিপির যৌথ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন সুন্নি ইত্তেহাজ কাউন্সিলের (এসআইসি) মাহমুদ খান আচাকজাই।
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষেদের নবনির্বাচিত সদস্যরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।
ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতি আসা আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী ছিলেন। বেনজির বোমা হামলায় নিহত হওয়ার পর আসিফ রাজনীতিতে আরও বেশি সক্রিয় হন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আসিফ আলী জারদারি ২৫৫টি ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার বিরোধী প্রার্থী পেয়েছেন ১১৯টি ভোট।
আসিফ আলী বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত বছর আরিফ আলভীর প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত না হওয়ায় তিনি আরও এক বছর এ দায়িত্ব পালন করেন।
জারদারি এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন।
জারদারির বিরুদ্ধে নির্বাচন করা আচাকজাই পাসতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) প্রধান। তবে তিনি সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের হয়ে নির্বাচন করেছেন।
এই দলের ব্যানারেই জাতীয় পরিষদে যোগ দিয়েছেন ইমরান খানের পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ইমরানের দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আচাকজাইকে ভোট দিয়েছেন।