সম্প্রতি পাকিস্তানে হয়ে গেলো জাতীয় নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পর এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ উপলক্ষে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে।
জাতীয় পরিষদ এবং সিনেট সদস্যরা এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বর্তমান জোট সরকার থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি আসিফ আলী জারদারি। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোটের মেহমুদ খান আচাকজাই।
জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন কেন্দ্রীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি চার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরাও। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোট হবে।
আসিফ আলী জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন। এরই আগে ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই এবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির সমর্থনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাছাড়া এই জোটই দেশটিতে সরকার গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে মাওলানা ফজলুর রেহমানের দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজল (জেইউআইএফ) এবং জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) পার্লামেন্ট সদস্যরা।
সূত্র: ডন নিউজ, জিও নিউজ।