ভারতের বারণসী আদালতের নির্দেশে গত জানুয়ারিতে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পূজা শুরু করেছিলেন হিন্দুরা। পরে সেই পূজাপালনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন মুসলিমরা। আজ সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল বলেন, ‘জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পূজাপালন অব্যাহত থাকবে।’
আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বারানসি জেলা আদালত রায়ে বলেছিলেন, একজন পুরোহিত জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ সেলারে পূজা করতে পারেন। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গভীর রাতে পূজা শুরু করার সব ব্যবস্থা করা হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।
মসজিদটির ভূগর্ভে চারটি ‘তেখানা’ বা সেলার রয়েছে। সেখানে একজন পুরোহিতের পরিবার বসবাস করছে। পরিবারের দাবি, ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বংশগত পুরোহিত হিসেবে তাদের পূজা করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এরপর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, অশান্তির কারণে তৎকালীন মুলায়ম সিং সরকার পূজার অনুমতি বাতিল করে দেয়।
মসজিদের বেজমেন্টে উপাসনা করার অনুমতি চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন কয়েকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এরপর বেজমেন্টে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার অনুমতি দেয় সেখানকার একটি আদালত। তবে মসজিদ কমিটির দাবি, সেলারে কোনো মূর্তি নেই। তাই ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেখানে হিন্দু প্রার্থনা করার কোনো প্রশ্ন আসে না।
৩১ জানুয়ারির রায়ের পরেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। শীর্ষ আদালত আবেদন শুনতে না চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যেতে বলে। তার দুই ঘণ্টার মধ্যে আবেদন জমা পড়ে হাইকোর্টে। আজ এর রায় ঘোষণা করা হলো।