নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার সব সময় ট্রাম্পের আঙুলের ডগায় থাকে। আমেরিকার মিলিটারি অস্ত্রশালায় রয়েছে ৭ হজার পরমাণু অস্ত্র, যা তিনি একটিমাত্র ঘোষণায় সক্রিয় করতে পারবেন।প্রয়োজনে যেকোনো সময় অস্ত্র প্রয়োগের ওই ঘোষণা ব্যবস্থা একটি ব্যাগে থাকে। যে ব্যাগটিকে সচরাচর ‘নিউক্লিয়ার ফুটবল’ নামে অভিহিত করা হয়।
ট্রাম্প এশিয়া সফরের সময় সর্বক্ষণ হাতের নাগালে রাখবেন ব্যাগটি। ওই ব্যাগের মধ্যে রয়েছে ‘নিউক্লিয়ার গোল্ড কোড’।যেকোনো হামলার জবাব দিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে ব্যাগের মধ্যে। ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা একজন সৈনিক সারাক্ষণ বয়ে বেড়ান ২০ কেজি ওজনের ব্যাগটি।এ বছর উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হওয়ার পর নতুন করে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এশীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় কোনোভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ট্রাম্পের সহচর সৈনিকটি ব্যাগ খোলার অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবেন কিনা?পরমাণু অস্ত্র হামলার সিদ্ধান্ত নিলে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে অস্ত্রগুলো লক্ষ্যের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট একবার আদেশ দিলে অস্ত্রগুলো ফেরানোর আর কোনো উপায় থাকবে না। জনমানবহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে উত্তর কোরিয়া।
এরপর রাশিয়া ও চীন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশও ময়দানে নেমে পড়বে অচিরেই। আগের দুটি মহাযুদ্ধের ইতিহাস অনুসরণ করে শুরু হয়ে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য অনেক রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন বহুদিন ধরেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ০৭ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি