ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইয়েমেন। ২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন লোহিত সাগরে একটি নৌ সামরিক মিশন নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল ইয়েমেন।
ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মাদ আলী আল-হুথি মঙ্গলবার তার অফিসিয়াল এক্স পেজে লিখেছেন, “ইউরোপীয়দের বলছি: আগুন নিয়ে খেলবেন না বরং ব্রিটেনের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। মার্কিন শয়তানকে সাহায্য করবেন না কারণ, তাতে আমেরিকা গাজাবাসীকে নির্বিঘ্নে নিশ্চিহ্ন করার কাজে ইসরাইল সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারবে।”
এর আগে সোমবার এডেন সাগরে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্রিটিশ কার্গো জাহাজ রুবাইমার ডুবে যায়।
এদিকে মঙ্গলবারই ইইউ’র নৌ মিশনের কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরোধিতা করে ইয়েমেন লোহিত সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে যে হামলা চালাচ্ছে তা প্রতিহত করার লক্ষ্যে ওই মিশন নামানো হচ্ছে। লোহিত সাগর, এডেন সাগর ও এর আশপাশের পানিসীমায় ব্যাপক হারে ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজ নামানো হবে ওই মিশনের কাজ। প্রাথমিকভাবে মিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয়েছে এক বছর।
মোহাম্মাদ আলী আল-হুথি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইইউ’র মিশন লোহিত সাগরে সামরিক তৎপরতা জোরদার করবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল আরো বেশি বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতেই খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।
ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের সমর্থিত সরকার গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যার জবাবে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী হুথিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর ইয়েমেনের সেনাবাহিনী হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। মোহাম্মাদ আলী আল-হুথি যে হুমকি দিলেন তাতে মনে হচ্ছে, এবার ইইউভুক্ত ২৭ দেশের বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকেও হামলার আওতায় নিয়ে আসবে ইয়েমেন।