ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জার্মানি সফরে রয়েছেন। বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। জেলেনস্কি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সেও যোগ দেবেন। সেখানে ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানরা যোগ দেবেন। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞও থাকবেন।
জেলেনস্কির কাছে সময়টি রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার হাতে গোলাবারুদের সংখ্যা কমে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তা ইউক্রেনের হাতে পৌঁছবে না। রাশিয়াও আক্রমণ আরও তীব্র করতে পারে। ইউক্রেনের সেনাদের এখন হিসাব করে গোলাবারুদ খরচ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে মিউনিখে আলোচনা হবে। সেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও যোগ দেবেন।
ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে অচলাবস্থা। মার্কিন সিনেটে জো বাইডেনের ডেমক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে ইউক্রেনকে ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। তবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তা পাস হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, সেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোলাবারুদ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন বিপাকে পড়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে যদি পাঁচটি গোলা থাকে তো, ইউক্রেনের হাতে একটি গোলা আছে। সামরিক বিশ্লেষক মার্কাস রেইসনার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ক্রমশ বিপজ্জনক হচ্ছে। তিনি জানান, অন্তত ১৫টি জায়গায় রাশিয়ার সেনারা এগোচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে কিছু জয়গায় তারা ছয় কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে এনেছে। কিছু জায়গায় দেড় কিলোমিটার এলাকা তারা অধিকার করেছে।