অবশেষে, পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললো দেশটির ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সব বিভেদকে ভুলে ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। দেশটির দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী দাবি করার মধ্যেই তিনি এই আহবান জানালেন।
সবশেষ ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে যুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসনে জয়ী হয়েছেন। আর, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর আস্থাভাজন নওয়াজ শরীফ সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য দলগুলোতে তাদের জোটে যোগ দেয়ার দাওয়াত দিয়েছেন।
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন ব্যাপক সহিংসতা ও নজিরবিহীন বিলম্বে ভোট গণনা শুরুর মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে এসেছে ব্যাপক সমালোচনা। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সেই সব সমালোচনাকে প্রত্যাখান করেছে এরইমধ্যেই।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সুস্পষ্ট ফলাফল আসার আগেই দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনীর সব দলকে পরিপক্কতা ও ঐক্য দেখানোর আহবান জানিয়ে বলেন, মেরুকরণের রাজনীতি ২৫০ মিলিয়ন মানুষের একটি প্রগতিশীল জাতির জন্য উপযুক্ত নয়। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
জেনারেল মুনির বলেন, নির্বাচন জয়-পরাজয় কোনো সংখ্যার প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। তাই নৈরাজ্য ও মেরূকরণকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে।