নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তবে এই নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুপস্থিতি। বেশ কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এখন কারাগারে। এছাড়া নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সামরিক শাসনের গ্যড়াকলে যেন স্থবির গণতান্ত্রিক চর্চার রাজনীতি। আজ যে ক্ষমতায় আগামীকাল সে কারাগারে। এছাড়া পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের নজিরও নেই পাকিস্তানে।
কারাগারে থেকেই নির্বাচনে ইমরান
সাবেক ক্রিকেটার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে থেকেই অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। ইমরানের নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে ঘুরছে নানা সমীকরণ। ইমরান কী পারবেন জেল থেকে সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করতে?
যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশন ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট কেড়ে নিয়েছে। ফলে দলটির নেতারা লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। তবে ভোটারদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি মিডিয়া সেল খুলেছে পিটিআই।
নির্বাচনী সহিংসতা ও নিরাপত্তা
পাকিস্তানে সহিংসতা খুব একটা নতুন কিছু নয়। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারের সহিংসতা বেশ ভয়াবহ বলা চলে। কারণ বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে নির্বাচনী অফিস লক্ষ্য করে দুটি বিধ্বংসী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। খবর ডনের।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত আকারে শাহবাজ সমর্থক ও ইমরান সমর্থকদের মধ্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে পাকিস্তানজুড়ে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তিন স্তর বিশিষ্ট ব্যবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালন করবেন।