ইসরায়েলের ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। নেতানিয়াহুকে তারা ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি উল্লেখ করে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
চিঠিটি গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে পাঠানো হয়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার একই চিঠি দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
চিঠিটি নিঃসন্দেহে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের চরম ডানপন্থী সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছেন, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে এবং এরই ফলশ্রুতিতে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইসরায়েলের এখনকার পরিস্থিতির জন্য প্রাথমিকভাবে নেতানিয়াহুই দায়ী। তাঁর কারণেই এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি অপহৃত হয়েছেন। অপহৃতদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে।’
এক বছর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এরই মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশি এক জরিপে দেখা গেছে, এখন নির্বাচন হলে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে ইসরায়েলে ২০২৬ সালের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।