ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের এরবিল শহরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সোমবার যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে নিহত হয়েছেন কুর্দি তেল টাইকুন পেশরা মাজিদ অগা দিজায়ি।
তিনি ছিলেন ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ট। দিজায়ি ইরাক থেকে অবৈধভাবে ইসরাইলের কাছে তেল রপ্তানি করে নিজের ভাগ্য গড়েছেন।
আইআরজিসি মোসাদের সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর দিজায়ি নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে একথা প্রমাণ হয় যে, যখন আইআরজিসির হামলা হয়েছে তখন সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল।
কুর্দি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিজায়ি ফ্যালকন গ্রুপের প্রধান ছিলেন যে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কুর্দিস্তান অঞ্চলের নিরাপত্তা, তেল, গ্যাস, নির্মাণ এবং কৃষি বিষয়ক ব্যবসা।
মজার বিষয় হচ্ছে- এই কোম্পানির ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, তারা ইরাকি কুর্দিস্তানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং অনেক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিকে নিরাপত্তা সেবা দিতে পেরে সন্তুষ্ট\”। এই কথা মূলত বিভিন্ন নিরাপত্তা কোম্পানির সাথে ফ্যালকন গ্রুপের প্রধানের গভীর যোগসূত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে যা তাকে মোসাদের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
মূলধারার গণমাধ্যমের ফোকাস বেশিরভাগ সময়ই দিজায়ির বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এবং কুর্দিস্তানের শাসক বারজানি পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে ছিল। সে কারণে ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার সাথে তার ঘনিষ্ঠতা আড়ালেই থেকে গেছে।
ইরানের প্রেস টিভি কিছু ছবি পেয়েছে যা দিজায়ির সাথে মোসাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে। ইরাকি কুর্দিস্তানে ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার অপারেশনে কীভাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তা ছবিতে স্পষ্ট হয়েছে। মোসাদের এসব তৎপরতা মূলত ইরানকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়।
একটি ছবিতে পেশরা মজিদ অগা দিজায়ী, ইলান নিসিম যিনি ইরাকি কুর্দিস্তানে মোসাদের রিক্রুটিং এজেন্ট এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টির মহাসচিব হোসেইন ইয়াজদানপানাহকে দেখা যায়।