তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম চীনবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত।
উইলিয়াম লাইয়ের প্রধান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী দল কুমিংতাংয়ের প্রার্থী হো ইই-ইহ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। উইলিয়াম লাইয়ের দল তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল হিসেবে উপস্থাপন করে। তারা চায় তাইওয়ান যেন চীনের প্রভাব মুক্ত থাকে। এবারের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসল।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন কুমিংতাংয়ের হো ইহ-ইহ এবং রাজধানী তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে। তিনি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তাইওয়ান্স পিপলস পার্টির হয়ে নির্বাচন করেছেন।
তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল দাবী করা চীন— নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইকে ‘ভয়ঙ্কর বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। লাই চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে একাধিকবার কথা বলতে চাইলেও; তার এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
লাই নির্বাচনের আগে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতিশীলতা এবং এটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করবেন।
তাইওয়ানের নির্বাচন ঘিরে সরব ছিল চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, নির্বাচনের দিনও তাদের ভূখণ্ডে বেলুন উড়িয়েছে বেইজিং।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি তাইওয়ানে আজ সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। তবে যদি কোনো দল এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে প্রতিরক্ষা খরচ ও বিভিন্ন আইন পাস করাতে হিমশিম খাবেন প্রেসিডেন্ট।