ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন পদত্যাগ করেছেন। গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) তার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, চলতি বছরের মাঝামাঝি ইউরোপীয় এ দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করতে পারেন ম্যাক্রোঁ। যার জন্যই বোর্ন পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার এলিজাবেথ বোর্নের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে দায়িত্বে থাকাকালীন তার কাজের প্রশংসা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
এক বিবৃতিতে ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বোর্ন সাহস ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করে দেখিয়েছিলেন। ফ্রান্সের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এলিজাবেথ বোর্ন। চলতি বছরের মাঝামাঝি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন। তার আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। সে কারণেই এলিজাবেথ পদত্যাগ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্নের উত্তরসূরি হিসেবে কাকে নিযুক্ত করা হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বোর্ন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন।
বোর্নকে ২০২২ সালের মে মাসে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হয় এবং গত বছরের শেষের দিকে কট্টরপন্থী, বিতর্কিত অভিবাসন বিল পাসের পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রস্থান ঘটল। প্রসঙ্গত, পেনশন সংস্কার, সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো এবং অভিবাসন আইন নিয়ে বিতর্কের জন্য জনগণের অসন্তোষের মুখে রয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো তিন বছর বাকি রয়েছে। তার আগেই এই রদবদলে ম্যাক্রনের ভাবমূর্তি পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।