ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের আফ্রিকায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দখলদার ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। এ ব্যাপারে তারা কঙ্গোসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে গোপন আলোচনা করছে জানা গেছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, এসব দেশকে ইসরায়েল আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে। এর মধ্যে কঙ্গো রাজিও হয়েছে।
ইসরায়েলি গোয়েন্দামন্ত্রী জিলা গ্যামলিল বলেছেন, “যুদ্ধশেষে গাজায় হামাস শাসনের পতন ঘটবে। বর্তমানে সেখানে পৌর কর্তৃপক্ষ নেই এবং গাজার সব মানুষ পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।”
তিনি আরও বলেছেন, “গাজায় কোনও কাজ থাকবে না এবং গাজার ৬০ শতাংশ কৃষি জমি নিরাপত্তা বাফার জোনে পরিণত হবে।”
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গেভির ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের ব্যাপারে দৌঁড়ঝাপ করছেন। তারা এ ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্যও দিয়েছেন।
তবে উগ্রবাদী এসব ইসরায়েলি মন্ত্রীদের কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান বলেছেন, গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এবং এটি তাদেরই থাকবে।
অপরদিকে ফ্রান্স বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরানোর কথা বলে উগ্রপন্থী ইতামার বেন গেভির উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছে। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স।
দেশটি আরও বলেছে, জোরপূর্বক নাগরিকদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনিরা কোথায় থাকবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে সেটি একমাত্র তারাই নির্ধারণ করবে। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটির, আনাদোলু এজেন্সি, টাইমস অব ইসরায়েল