লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলের ড্রোন হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল–আরোউরি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের দুইজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
হামাস জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ে তাদের কার্যালয়ে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উপপ্রধান সালেহ আল-আরোউরিসহ ওই তিনজন রয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সালেহকে লক্ষ্য করে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের মোওয়াদ শহরে ড্রোন হামলা চালানো হয়। সেখানে হামাসের কার্যালয় ছিল। ওই হামলায় সালেহ আল-অরৌরি প্রাণ হারান।
লেবাননের টিভি চ্যানেল আল-মায়দ্বীনও জানিয়েছে সালেহ নিহত হয়েছেন। লেবাননের অপর সংবাদমাধ্যম এনএনএ জানিয়েছে, এ হামলায় সবমিলিয়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সালেহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সালেহ আল-অরৌরি হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান ছিলেন। এছাড়া হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। সালেহ ১৯৬৬ সালে দখলকৃত পশ্চিম তীরে জন্ম নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলি জেলে দীর্ঘ ১৫ বছর কারবরণের পর দীর্ঘসময় ধরে লেবাননে বাস করছিলেন সালেহ। দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিলেন। গত মাসে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালেহ আল-অরৌরি বলেছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হবে ততক্ষণ তারা কোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না। অক্টোবরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী রামাল্লায় তার বাড়ি ধ্বংস করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ২০১৫ সালে তাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এবং তার খোঁজ দিতে পারলে ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়।