দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়ে-মিউং মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব শহর বুসানে যাওয়ার সময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি হামলা করে গলায় ছুরিকাঘাত করেছে, দেশটির জরুরি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর জাপান পোস্ট।
আজ মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি ২০২৪) বুসানের জরুরি কার্যালয় জানিয়েছে, লি শহরের একটি নতুন বিমানবন্দরের নির্মাণস্থল পরিদর্শন করার সময় তার ওপর হামলা করা হয়।
ইয়ুনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুসানে প্রস্তাবিত একটি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত এলাকা সফরে গিয়েছিলেন লী জায়ে-মাইয়ং। সেখানেই তাঁকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ছুরিকাঘাত করে। পুলিশের ধারণা, ছুরিকাঘাতকারী ব্যক্তির বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির ধোঁকার আশ্রয় নিয়ে লীকে ছুরিকাঘাত করেছেন। ওই ব্যক্তি প্রথমে লীর কাছে গিয়ে বিনীতভাবে একটি অটোগ্রাফ চান। পরে হঠাৎ লাফ দিয়ে আগে বেড়ে লীকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে অবশ্য তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তিকে নিরস্ত্র করে গ্রেপ্তার করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম ওয়াইটিএন সম্প্রচারিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক ভিডিও থেকে দেখা গেছে, লোকটি লীর সামনে ঝুঁকে রয়েছে। হঠাৎ সে লাফ দিয়ে উঠে আগে বেড়ে তাঁর হাত লম্বা করে লীর গলায় ছুরিকাঘাত করে। পুরো বিষয়টি ঘটতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ছুরিকাঘাতের পরপরই লী খিঁচুনি দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে লীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখা বা বহন করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেশটি অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে করা রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। এর আগে, ২০০৬ সালে তৎকালীন রক্ষণশীল বিরোধীদলীয় নেতা পার্ক জিউন-হাই—পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন—এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতের শিকার হন। পরে তাঁকে অস্ত্রোপচারের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল সেই ক্ষত থেকে সেরে উঠতে।