সৌদি আরবে বিভিন্ন স্থানে অনেক সোনার খনি রয়েছে। এবার দেশটি নতুন আরেক সোনার খনির সন্ধান পেয়েছে। সৌদি আরবের খনি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাদেন গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, তারা বেশ কয়েকটি স্থানে সোনা মজুতের সন্ধান পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাদেন জানিয়েছে, মূলত বর্তমানে কাজ চলা সোনার খনি মানসুরা মাসারাহের খুব কাছেই সামান্য দক্ষিণে বেশ কয়েকটি স্থানে সোনার মজুত পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে তারা মানসুরা মাসারেহের কাছে ১০০ কিলোমিটার চওড়া এক উপত্যকায় সোনার সন্ধানে জরিপকাজ শুরু করে। অবশেষে সেই সন্ধান সফলতার মুখ দেখেছে।
অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা নমুনা যাচাই করে দেখা গেছে, সেখানে উচ্চ ঘনত্বের সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক উজ্জ্বল। দুটি নমুনা থেকে দেখা গেছে, একটিতে প্রতি টন খনিজে সোনার উপস্থিতি রয়েছে ১০ দশমিক ৪ গ্রাম, অপরটিতে রয়েছে ২০ দশমিক ৬ গ্রাম।
নতুন এই সোনার মজুত পাওয়ার পর মাদেন ঘোষণা দিয়েছে, তাঁরা অঞ্চলটিতে ব্যাপক খননকাজ চালাবে ২০২৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রবার্ট উইল্ট গত অক্টোবরে রয়টার্সকে বলেছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান সোনা ও ফসফেট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করেছে।
মাদেনের বিবৃতি অনুসারে, মানসুরা মাসারেহ থেকে ২০২৩ সালে প্রায় ৭০ লাখ আউন্স বা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ কেজির মতো স্বর্ণ উৎপাদন করা হয়েছে। মাদেন সৌদি আরবের সরকারের মালিকানাধীন একটি খনন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ৬৭ শতাংশ মালিকানাই সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা পিআইএফের।