ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী হামাসের মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজারে দাঁড়াল। আহত হয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০জন।
স্থল অভিযানের পাশাপাশি গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজায় তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।
এদিকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে সংঘাত পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দফায় দাফায় গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। একে অপরের সামরিক উপস্থিতি লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে তার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অবরোধ গাজার শিশুদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার শামিল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতা মুক্তিকামী সশস্ত্র বাহিনী হাসাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলিদের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।