জাতিসংঘের ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের তত্ত্বাবধানে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন। আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
আগামী সোমবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
দশম ‘সেশন অব কনফারেন্স অব স্টেটস পার্টিস অব ইউএন কনভেনশন এগেইনস্ট করাপশন’ শীর্ষক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার আসিয়া খাতুন।
ইতোমধ্যে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা আটলান্টায় এসে পৌঁছেছেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে- জানতে চাইলে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জাতিসংঘের ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের তত্ত্বাবধানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারের সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশ্বনেতাদের সমবেত করছে।
মার্টিন লুথার কিংয়ের নগরী আটলান্টায় জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলন বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলন।
প্রতি দুই বছর পর পর সদস্য দেশগুলো তাদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম কিভাবে বাস্তবায়ন করছে- তা মূল্যায়নের জন্যে এ বৈঠকে মিলিত হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে সহযোগিতার মাধ্যমে কিভাবে আরও জোরদার করা যায় সম্মেলনে এ ধরনের আলোচনা হবে।
‘দ্য ইউএন কনভেনশন এগেইনস্ট করাপশন’ দুর্নীতি প্রতিরোধে একমাত্র সর্বজনীন আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি। বিশ্বের ১৯০টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে। কনভেনশনটি ভিয়েনায় আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয় এবং ২০০৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তা পাশ করা হয়। চলতি বছরে এটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে।