পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলায় সাক্ষী করতে চেয়েছেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুৎ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দুর্নীতির একটি মামলায় ইমরানের তিন বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর গত সেপ্টেম্বর থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে আদিয়ালা কারাগার চত্বরে আদালত বসিয়ে তার বিরুদ্ধে সাইফার মামলার শুনানি চলছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, সোমবার একটি বিশেষ আদালতে সাইফার মামলার শুনানি হয়। এতে বলা হয়, এই মামলায় আগামী ১২ ডিসেম্বর ইমরান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করা হবে।
সাইফার মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের ওয়াশিংটন দূতাবাসের পাঠানো একটি বার্তা প্রকাশ্যে এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি গোপন আইন লঙ্ঘন করেছেন। পরে ওই কূটনৈতিক বার্তা ইমরান হারিয়ে ফেলেছেন বলেও জানা গেছে। একপর্যায়ে আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ভাবে কথা বলেন ইমরান। সেখানেই তিনি সাবেক সেনাপ্রধানকে সাক্ষী করার কথা জানান। এছাড়াও কারাগারে সমস্যা হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিটিআই আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হবে।
একটি বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, যে সব পিটিআই নেতারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এর আগে ইমরান অভিযোগ করেছিলেন অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার সরকারকে উৎখাত করার ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ জড়িত ছিলেন ডোনাল্ড লু। ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা হয়েছে।