সাত দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি স্থল ও বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর প্রথম দিনে মোট ১৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজায় গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি দুই দফা বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়। মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেয়া হলেও রাজি হয়নি ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছ, যুদ্ধবিরতির পর খান ইউনিস ও রাফা শহরসহ গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে চলছে হামলা। পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার কয়েকটি অঞ্চলে লিফলেট ফেলে ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছাড়তে বলে ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।