অবশেষে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর শুরু হয়েছে। এর আওতায় প্রথম ধাপে ইসরায়েলের ১৩ নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। একই সঙ্গে ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ১২ জন থাই নাগরিককে হামাস মুক্তি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। এর পরপর ইসরায়েলি ১৩ জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস।
এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিরতির প্রথমদিন মুক্তি পাবেন ১৩ জন। চুক্তির শর্ত মেনে, ১৩ ইসরায়েলিকে ছেড়ে দিয়েছে এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। মুক্তি পাওয়া সবাই নারী ও শিশু।
এই মুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। দেশটি আশা করছে, রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় সাহায্য পাঠানো যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, \’নিরাপত্তা বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, আমাদের ১২ নাগরিককে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের বরণ করে নেবে। পরবর্তীতে মুক্তি পাওয়াদের নাম ও বিস্তারিত জানানো হবে।\’
টাইমস অব ইসরায়েলকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, \’মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজার খান ইউনিস থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।\’
গত ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের শত শত যোদ্ধা। পরে সেখানে হামলা চালানোর পাশাপাশি প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। জিম্মিদের মধ্যে থাইল্যান্ডের কয়েকজন নাগরিকও ছিলেন, যারা গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
এসব শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর, তাদের মুক্তির জন্য সরাসরি কয়েকটি মুসলিম দেশের দারস্থ হয় থাইল্যান্ড। এছাড়া হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন দেশটির কূটনীতিকরা। হামাস জানিয়েছিল, তারা থাই জিম্মিদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই ছেড়ে দেবে।
সূত্র: বিবিসি