কয়েকদিন ধরেই গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশপাশে গুলি চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। এরই মধ্যে হাসপাতালটির কার্ডিয়াক ওয়ার্ড পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা। এবার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল সেই আল শিফা হাসপাতাল। খবর আল-জাজিরার।
আল জাজিরা বলেছে, আল শিফা হাসপাতালের সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে আরেকটি বৃহত্তম হাসপাতাল আল কুদস। এর আগে সোমবার আল শিফা হাসপাতালে হামলায় ৩ জন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই গুলি চালাচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটকে রেখেছে। হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া গত ১১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হওয়ার পর থেকে অকালে জন্ম নেওয়া দুটি শিশুসহ ১২ জন রোগী মারা গেছেন।
অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে তারা হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে ৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। হামলায় ইতোমধ্যে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি নারী ও শিশু।