ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ৩৫তম দিনে গড়িয়েছে। এই ৩৫ দিনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৩২ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। এসব বোমার আঘাতে গাজায় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু।
আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
মিডিয়া অফিস জানায়, গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলায় ৫০ শতাংশের বেশি আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার আবাসন ইউনিট। আবাসন ও অবকাঠামো খাতগুলোর প্রত্যেকটিতে আনুমানিক প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়নি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দ্বিতীয় মাসেও যুদ্ধ চলমান থাকলে গাজায় আরও ৫ লাখেরও বেশি মানুষ দরিদ্র হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের দুই সংগঠন। আরও বলেছে, ফিলিস্তিনে দারিদ্র্যের হার ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের আর্থ-সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও পশ্চিম এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইএসসিডব্লিওএ)। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, তথ্যগুলো জানিয়েছে এই দুই সংস্থা।
যুদ্ধ চলমান থাকলে ফিলিস্তিনের মাথাপিছু আয় ৮.৪ শতাংশ কমে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এতে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার। ইউএনডিপি ও ইএসসিডব্লিওএ জানিয়েছে, যুদ্ধের এক মাসে দারিদ্র্য ২০ শতাংশ বেড়েছে আর জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ৪.২ শতাংশ। সংস্থাগুলোর মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার অনুমান অনুযায়ী যুদ্ধের প্রথম মাসে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষের চাকরি হারানোর বিষয়টিকেও জোর দেওয়া হয়।