যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি দেশটির জান্তা সরকারের বৈদেশিক রাজস্বের প্রধান উৎস। নিষেধাজ্ঞার ফলে সরকারের আয় অনেকটাই কমে আসবে বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।
ট্রেজারি এক বিবৃতিতে বলেছে, পদক্ষেপটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াশিংটন এর আগে জান্তা সরকারের নেতাদের টার্গেট করেছিল।
বিবৃতিতে বলেছে, পদক্ষেপটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াশিংটন এর আগে জান্তা সরকারের নেতাদের টার্গেট করেছিল।
ট্রেজারি নির্দেশিকা অনুসারে আর্থিক পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বীমা, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য পরিষেবা৷
ওয়াশিংটন প্রতিষ্ঠানটিকে বিশেষভাবে মনোনীত নাগরিকদের তালিকায় যুক্ত করা থেকে বিরত ছিল। ফলে তারা মার্কিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অকার্যকর হয়ে পড়বে এবং আমেরিকানদের সঙ্গে বাণিজ্য করা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সম্পদও জব্দ করা হবে।
ব্রিটেন এবং কানাডার সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপে ওয়াশিংটন তিনটি সংস্থা এবং পাঁচ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে জগিত বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো নৃশংসতার পথ বন্ধ করবে এবং জবাবদিহিতা প্রচারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবে৷ আমরা গোটা দেশকে অস্ত্র, বিমানের জ্বালানি এবং সামরিক সরকারের রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করতে থাকি।’
যুক্তরাজ্যও জান্তার সঙ্গে জড়িত পাঁচ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসেছে। অপরদিকে কানাডা মিয়ানমারের সামরিক শাসনকে সমর্থন করার জন্য ৩৯ জন ব্যক্তি এবং ২২টি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে কোনো দেশই তার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় এমওহজিই’র কথা উল্লেখ করেনি।
মিয়ানমার ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান এবং একটি মারাত্মক ক্র্যাকডাউনের পর থেকে সংকটে রয়েছে যা একটি দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি জাতিগত সংখ্যালঘু সেনাবাহিনীর সমর্থন জিতেছে।
মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডার মঙ্গলবারের পদক্ষেপ অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন করার জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।