জাপানের টোকিও’তে সম্প্রতি খুনের সন্দেহে আটক হওয়া ব্যক্তি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিরাইশি নামের ওই যুবক জানিয়েছেন, মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ৮ নারীসহ ৯ জনকে তিনি হত্যা করেন। গত মঙ্গলবার টোকিও’র কাছে জামা নামক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের বাইরে বাক্সের ভেতর খণ্ডিত অবস্থায় ৯ জনের মরদেহের সন্ধান পায় পুলিশ।
টোকিও’র কাছে জামা নামক এলাকার ওই ফ্ল্যাটের বাইরে একটি বাক্সের ভেতর মরদেহগুলো ছিল। পুলিশের বিশেষ ওই অভিযানের সময় ফ্ল্যাটটির বাসিন্দা তাকাহিরো শিরাইশি নামের ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত নিখোঁজ এক নারীর অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে তাকাহিরো শিরাইসির অ্যাপার্টমেন্টে মরদেহগুলোর সন্ধান পায় পুলিশ। স্বীকারোক্তির পর শিরাইশির বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার অভিযোগ আনা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খণ্ডিত মরদেহগুলোর মধ্যে ২৩ বছর বয়সী ওই নিখোঁজ নারীও রয়েছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিরাইশি জানিয়েছে, খুনের শিকার ধরতে টুইটারকে সে ব্যবহার করতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর সম্পর্ক গড়ে তুলতো। এরপর সাক্ষাতের প্রলোভন দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করতো শিরাইশি।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, যারা আত্মহত্যা করতে চাইতেন তাদেরকেই শিকার হিসেবে বেঁছে নিতেন। আত্মহত্যা না করার নানা উপদেশ বাণী দেয়ার এক পর্যায়ে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতেন। এরপর বাড়িতে ডেকে এনে তাদের খুন করতেন। সেখানেই শেষ নয়, হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ঠাণ্ডা রাখার ছোট বাক্সে ভরে লুকিয়ে রাখতেন শিরাইশি।
জিজ্ঞাসাবাদে শিরাইশি জানায়, নিখোঁজ ওই নারীকেও টুইটারেই সে পায়। মূলত ওই নারীর নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে শিরাইসির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তদন্তের অংশ হিসেবেই শিরাইসির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর তখনই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহগুলো ৮টি নারীর এবং ১টি পুরুষের। ছোট বড় ৮টি বাক্সে মরদেহগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল। তবে নিখোঁজ নারীর হদিশ মিললেও সবার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে চলতি বছরের গোড়ার দিকে একটি নাইট ক্লাবে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন শিরাইশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে