সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার জন বেইনার এক সাক্ষাৎকারে জানান, মিশেলের ‘মৃত্যুর ভয়ে’ ধূমপান ছেড়ে দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
রিপাবলিকান পার্টিতে তাঁর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, হোয়াইট হাউস, প্রচার, লবিস্ট সংক্রান্ত রাজনীতি বিষয়ক ওয়েবভিত্তিক ‘পলিটিকো’ পত্রিকাকে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার ধূমপানের অভ্যাস ও স্ত্রী মিশেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের নানা বিষয়ে কথা বলেন বেইনার।
বেইনার ২০১১ সালে ওবামার সঙ্গে তাঁর এক বৈঠকের প্রসঙ্গ টানেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বদভ্যাসগত যে পার্থক্য ছিল, তা তিনি রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করেন।
বেইনার বলেন, ‘আমি একটি সিগারেট ফুঁকছিলাম, তাঁরা আমাকে এক গ্লাস মেরলট (এক ধরনের ওয়াইন) দিলেন। আমরা সেখানে কিছুটা সময় বসে ছিলাম। তখন প্রেসিডেন্ট বরফ দেওয়া চা পান করছিলেন আর নিকোরেট চিবোচ্ছিলেন।’
‘আমাদের দুজনের সম্পর্কে আর কি জানার আছে?’
সিগারেটের আকাঙ্ক্ষা কমাতে নিকোরেট গাম ব্যবহার করা হয়। কেউ সিগারেট ছাড়ার পর এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই আকাঙ্ক্ষা শেষ করে দেয়।
মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিসেবে প্রথম মেয়াদে মিশেল ওবামা ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তখন তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী এক বছরের বেশি সময় ধরে ধূমপান থেকে দূরে আছেন।
সে সময় দুজনের মধ্যে নানা অমিল থাকলে বেইনার বলেন, তিনি কখনো ওবামাকে চুরি করে হলেও সিগারেট ধরতে দেখেননি। আর এর জন্য তিনি সব কৃতিত্ব ওবামা পত্নী মিশেলকে দেন।
কখনো ওবামাকে সিগারেটের প্রলোভনে বশীভূত হতে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘ওহ না। না না না। তিনি তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হতে পারে বলে ভয় পেতেন। মৃত্যুকে ভয় পেতেন।’
২০১৪ সালে সংগীতশিল্পী বিলি জোয়েল দাবি করেন, হোয়াইট হাউসে ওবামা তাঁকে সিগারেট খাওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এই দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছিল।
২০১৩ সালে ওবামা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রকাশ্যে নিজের ধূমপানের বদভ্যাস নিয়ে কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘গত ছয় বছরে ধুমপান করিনি…কারণ আমি আমার স্ত্রীকে ভয় পাই।’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ