পবিত্র কোরআন অবমাননার জন্য পশ্চিমাদের তিরস্কার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্য মুসলিম নেতারা। বাকস্বাধীনতা রক্ষার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে মুসলিম নেতারা কোরআন অবমাননার নিন্দা জানান। সম্প্রতি সুইডেনে কয়েক দফায় পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদের মুখে এসব ঘটনার নিন্দা জানালেও দেশটির সরকারের দাবি, স্বাধীন মতপ্রকাশের আইনের অধীনে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
রাইসি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জাতিসংঘের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইরান। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তেহরান।
তিনি বলেন, যারাই বন্ধুত্বের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিবেশীর মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে সুযোগ তৈরি হবে বলেও বিশ্বাস করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন করে না ইরান। এই সংঘাত বন্ধে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার দেশ।
এর আগে ভাষণ দিয়েছেন উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মির্জিয়েভ। সেখানে তিনি আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। দেশটির জব্দ করা অর্থ মানবিক সংকট মোকাবিলায় ব্যবহার করা উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শভকাত মির্জিয়েভ বলেন, সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ফের আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে বড় ভুল হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে উজবেকিস্তানের সীমান্ত রয়েছে।