
১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক তলিয়ে গিয়েছিল। বৃদ্ধ দম্পতি ইডিটর স্ট্রস ও ইডা স্ট্রস সেই জাহাজের অন্যতম যাত্রী ছিলেন। পরিচালক জেমস ক্যামেরনও এই বৃদ্ধ দম্পতির কথা টাইটানিক সিনেমায় তুলে ধরেছিলেন। লাইফ জ্যাকেট খুলে ফেলে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে একসঙ্গে বিছানায় শুয়ে শান্তভাবে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন স্ট্রস দম্পতি।
সেই ঘটনা মোটেই মিথ্যা ছিল না। সেজন্যই জ্যাক-রোজের মতো আজও স্ট্রস দম্পতি দর্শকদের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছেন। টাইটানিকের সঙ্গেই হিমশীতল আটলান্টিক মহাসাগরের পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।
১১১ বছর পর তাদের প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি রাশের স্বামী স্টকটোন রাশও শিকার হলেন সেই একই পরিণতির। তিনি নিখোঁজ ডুবোযান টাইটানের পাইলট ছিলেন। এখনো পর্যন্ত তার হদিস মেলেনি। আর এর মধ্য দিয়েই যেন টাইটানিকের সঙ্গে মিলে গেল টাইটান।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতেই ৫ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে পাড়ি দিয়েছিল টাইটান। সাবমার্সিবল টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেটে সিইও হলেন স্টকটোন রাশ।
যাত্রী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে যান স্টকটোন। এর আগেও টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন স্টকটোন। ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু, এবার টাইটানের সঙ্গেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে জানা গেছে, স্ট্রস দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিনি। তিনি ১৯০৫ সালে ডা. রিচার্ড উইলকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের পুত্র জুনিয়র উইল নিউ ইয়র্কের মেসির প্রেসিডেন্ট হন। তার পুত্র তৃতীয় রিচার্ড উইল পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তারই মেয়ে হলেন ওয়েন্ডি রাশ। তিনি ১৯৮৬ সালে স্টকটোন রাশকে বিয়ে করেন।
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে স্টকটোন রাশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাই যেন টাইটানকে মিলিয়ে দিলো টাইটানিকের সঙ্গে।