এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ টাইটানের অবশিষ্ট আর ৮ ঘণ্টার অক্সিজেন

এখনো সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ টাইটানের অবশিষ্ট আর ৮ ঘণ্টার অক্সিজেন
নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটান - সংগৃহীত ছবি

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটান থেকে আবারও শব্দ শোনা গেছে বলে মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে। এ অবস্থায় সাবমেরিনটিকে শনাক্ত করতে চলমান তল্লাশি অভিযানের এলাকা আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে পূর্বের অনুমান অনুযায়ী, নিখোঁজ এ সাবমেরিনে আর ৮ ঘণ্টার কম অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে। মার্কিন কোস্ট গার্ড-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তল্লাশির সময় আরও শব্দ শোনা গেছে, কিন্তু আসলে সেসব শব্দ কী তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী।’

এর আগে, গত রোববার আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য পানির নিচে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্স থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টাইটান। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে টাইটানিক। প্রথম সমুদ্রযাত্রায় মাঝপথে বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজটি। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতেই ওশনগেট নামের একটি সাবমেরিনে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট পাঁচজন।

যাত্রীরা হলেন- ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) ও সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)। এই অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক অভিযাত্রীর মাথাপিছু খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি