তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না: ব্লিঙ্কেন

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না: ব্লিঙ্কেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফর বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উন্নয়নে এখন বিশ্বজোড়া আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

পূর্বনির্ধারিত দুইদিনের সফরের অংশ হিসেবে রোববার চীনে পৌঁছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।

তবে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের “উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের” বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি-র সাথে বৈঠকে এ বিষয়টি তিনি তুলেছেন।

সোমবার প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’

সোমবার সকালে বেইজিংয়ে চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।

ওয়াং ই বলেন, বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ঘাটতির জায়গাটা হচ্ছে, চীন সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে আমেরিকার। বিভিন্ন সময় চীনের ওপর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাধার অভিযোগ এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন এই চীনা কূটনীতিক। দুই দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে তা যেন সংঘর্ষে না গড়ায়, এ বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন ওয়াং।

এদিকে বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন ব্লিঙ্কেন।