ভারত ও পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে ‘বিপর্যয়’, জনজীবন বিপর্যস্ত

ভারত ও পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে ‘বিপর্যয়’, জনজীবন বিপর্যস্ত। বিস্তারিত নিচের ছবিতে
গুজরাটের একটি আশ্রয়কেন্দ্র - সংগৃহীত ছবি

ভারতের গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ব্যাপক শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছিল। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো গেছে। তারপরও গুজরাটে অন্তত ২২জন আহত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশি কয়েকটি ট্রেনের চলাচল, বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৯ শতাধিক গ্রাম।

ভারত এবং পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে পাকিস্তান উপকূল সংলগ্ন সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অতিক্রম করেছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগর পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি এখন সমুদ্র থেকে স্থলভাগে চলে গেছে এবং সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা প্রতি ঘণ্টায় ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।’

তবে পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চল কেটি বন্দর এবং ভারতের গুজরাট উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে ৮০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।’ প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব সিন্ধুর বেশিরভাগ বসতি এলাকা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সরাসরি প্রভাব থেকে নিরাপদ।

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে গুজরাটের রেল যোগাযোগ। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়ার কারণে, রাজ্যটির প্রায় ৯৯টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিত থাকবে বলেও ঘোষণা করেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে বিভাগ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলে ‘প্রবল তীব্র ঘূর্ণিঝড়’ বিপর্যয় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়ে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্মকর্তারা। এছাড়া ২৩টি প্রাণী মারা গেছে।

তারা আরও জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া থাকায় গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে ৫২৪টিরও বেশি গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৯৪০টি গ্রাম।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে ভারত এবং পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় দেড় লাখ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। যার মধ্যে পাকিস্তানেই এককভাবে ৮২ হাজার লোককে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। ভারতেও প্রায় ৭২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছিল।

সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স