বেলগোরোদে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ দূরত্বে থাকছে

বেলগোরোদে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ দূরত্বে থাকছে
সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার ভেতরে বেলগোরোদে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলার ঘটনা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ‘রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর ব্যাপারে তারা কোনও উৎসাহ দেয়নি বা সহায়তাও করেনি’।

রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন থেকে প্রবেশ করা সশস্ত্র হামলাকারীদের তারা পরাস্ত করেছে। সোমবার ইউক্রেনের বেলগোরদ সীমান্ত অঞ্চলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

গত বছর প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে এটি রাশিয়ায় হামলা চালানোর অন্যতম বড় ঘটনা।

হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বেশ কিছু পশ্চিমা যানের ছবি প্রকাশ করেছে রাশিয়া, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত হামভি সাঁজোয়া যানও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ওই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘এসব খবরের সত্যতা নিয়ে তার দেশের সন্দেহ রয়েছে’।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সেখানে কীভাবে যুদ্ধ চালানো হবে, এটা একান্তই ইউক্রেনের ব্যাপার’।

বেলগোরোদ সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামগুলোয় গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়।

তাদের অভিযানে ৭০ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে দাবি করে রাশিয়া বলেছে, এই যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে এসেছে। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও ধরণের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করেছে ইউক্রেন।

তাদের দাবি, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী দুটি আধা সামরিক বাহিনী ওই হামলার পেছনে রয়েছে।

রাশিয়ার মাটিতে যে কোনও ধরনের হামলা পশ্চিমা দেশগুলোর ন্যাটো সামরিক জোটের নেতাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে- ফলে এই ঘটনাগুলো কিয়েভের জন্য মিশ্র আশীর্বাদ হিসেবে আসতে পারে।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অনুপ্রবেশ মস্কোর জন্য হয়তো বিব্রতকর, এবং কয়েক মাসের তীব্র ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ হারানো ইউক্রেনের জন্যে এটা একধরনের ‘শোধবোধ’ও মনে হতে পারে।

এটা ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের আগে তাদের গঠনমূলক কার্যক্রমেরও অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ থেকে রুশ সৈন্যদের দূরে সরিয়ে নিতে কিয়েভ হয়তো আক্রমণ চালাতে পারে।