ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা ও পশ্চিম তীরে গত দুই দিনে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার (১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে সশস্ত্রগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের বিমান বাহিনী হামলা চালায়। ওই হামলায় গোষ্ঠীটির ৩ জ্যেষ্ঠ নেতাসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ৪টি শিশুও রয়েছে।
এ ছাড়া বুধবারও অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর উভয় এলাকায় আবারও অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। হামলা করা হয় বিমান থেকে। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইসলামিক জিহাদের ৩ যোদ্ধাসহ আরও ৬ ফিলিস্তিনি। দুই দিনে মোট ২১ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইসলামিক জিহাদের নিহত জ্যেষ্ঠ নেতারা হলেন জিহাদ ঘান্নাম, খলিল আল বাতিনি এবং তারেক এজেদাইন। এই ৩ জনের মধ্যে এজেদাইন গাজায় নিহত হলেও তিনি মূলত ইসলামিক জিহাদের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর শাখার নেতা বলে জানা গেছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলার পর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। তবে রকেট প্রতিরোধী ব্যবস্থার কারণে ইসরাইলের কোনো শহরে আঘাত হানতে পারেনি বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সংস্থ্যা মাগেন ডেভিড অ্যাডম ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ মঙ্গলবার এক বার্তায় বলেন, ‘ইসরাইল গাজার নেতৃত্বকে বিলীন করে দিতে চাইছে; কিন্তু তাদের এই ইচ্ছে কখনও পূরণ হবে না। গাজা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
২০২৩ সালের শুরু থেকেই ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি আরও বেশি হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর— দুই ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২৬ জন।
সংবাদ সূত্রঃ আল-জাজিরা