যুদ্ধকবলিত সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে সরিয়ে নেওয়া বাংলাদেশির মধ্যে ৪৭৮ জনকে বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় নেওয়া হয়েছে। তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের জেদ্দায় নেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকি ৭৭ জন বাংলাদেশিকে আজ বৃহস্পতিবার আরেকটি ফ্লাইটে জেদ্দায় নেওয়া হবে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে পোর্ট সুদানে সরিয়ে নেওয়া প্রায় ৭০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩৬ জনকে গত রোববার জেদ্দায় নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে তারা দেশেও ফিরেছেন। রয়্যাল সৌদি এয়ারফোর্সের তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের জেদ্দায় নেওয়া হয়।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদান থেকে যে গতিতে নিয়ে আসবে ভেবেছিলাম সেটি হয়নি, দেরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা আমাদের নিজেদের খরচে পোর্ট সুদান থেকে সেখানকার স্থানীয় চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্টে ৫৫৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসব।’
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আজ তিনটি ফ্লাইট অপারেট করবে। আগামীকাল আরেকটি ফ্লাইট অপারেট করবে জেদ্দা পর্যন্ত। জেদ্দা থেকে ঢাকা আনতে আমাদের বিমানের কমার্শিয়াল ফ্লাইট উন্মুক্ত আছে। সেখানে আসন সংখ্যার একটু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে হচ্ছে। এ কারণে আমরা বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করেছি। আগামীকাল বা পরশু নাগাদ এই বাংলাদেশিরা জেদ্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবাই নিরাপদে আছেন। আমরা খার্তুমের সিডিএকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। থাকার কষ্ট হচ্ছে। তবে নরমালি কেউ অভিযোগ করেনি। গত সোমবার যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে প্রথম দফায় দেশে ফিরেছেন ১৩৬ বাংলাদেশি। বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। দেশে ফেরাদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ প্রবাসী ছিলেন।’