নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন নিক্ষেপ!

ভারতের কর্ণাটকে চলতি মাসের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে উপলক্ষ্যে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সে প্রচারণাকালে মোদিকে লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারা হয়েছে। অল্পের জন্য তার গায়ে লাগেনি।

গতকাল রোববার রাতে মাইসুরুর কেআর সার্কেলের কাছে রোড শোতে অংশ নেন মোদি। সে সময় তার সঙ্গে একই গাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর দুইজন কমান্ডো ও বিজেপির দুইজন নেতা ছিলেন। মোদির গাড়ি অতিক্রম করার সময় রাস্তার দুই পাশে অনেক লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের কেউ কেউ তাকে লক্ষ্য করে ফুলও ছোঁড়েন। এরই মধ্যে একটি মোবাইল উড়ে আসে মোদির গাড়ির লক্ষ্য করে। মোবাইলটি জনসংযোগে ব্যস্ত মোদির হাতের সামান্য দূরে দিয়ে গিয়ে গাড়ির বনেটে গিয়ে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মী স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সদস্যদের জানান। তারা দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। কর্ণাটক পুলিশ দাবি করেছে, যে নারী ওই মোবাইল ছুঁড়েছেন তিনি বিজেপিরই কর্মী। কোনো কুমতলবে নয়, বরং উত্তেজনার বশেই প্রধানমন্ত্রীর দিকে মোবাইল ছুঁড়েছিলেন তিনি। বিষয়টি বিবেচনা করে এসপিজি কর্মীরা ওই নারীকে মোবাইলটি ফেরত দেন। তারপরও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে।

কর্ণাটক পুলিশের আইডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) অলোক কুমার বলেন, মূলত প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। তারাই ওই নারীর মোবাইল ছোঁড়ার বিষয়টি দেখেছেন। পরে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য না পেয়ে তার মোবাইলটিও ফেরত দেন। তারপরও আমরা ওই নারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

তবে এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, জিনিসটি যদি মোবাইল না হয়ে অন্য কিছু হতো, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এর আগে এই কর্ণাটকেই আরেকটি রোড শো-এর সময় মোদির নিরাপত্তা বলয় ভেঙে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিলেন। আবার বছরখানেক আগে পাঞ্জাব প্রদেশেও মোদির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ধরা পড়েছিল। তাই তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদ সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস