লিবিয়া উপকূলে ৫৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

আবারও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ঝরলো প্রাণ। দেশটির কোস্ট গার্ড লিবিয়ার উপকূল থেকে ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ নাগরিকই পাকিস্তান, সিরিয়া ও মিশরের। এ তথ্য জানা গেছে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদন থেকে।

কোনোভাবেই ইউরোপমুখী অভিবাসীর ঢল থামছে না। উন্নত জীবনের আশায় শত শত মানুষ প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিপজ্জনক এ পথ পাড়ি দিতে প্রতিনিয়ত অনেকের প্রাণ সমুদ্রেই ঝরছে।

এবার পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও মিশরের অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে দুটি ট্রলার সমুদ্রে ডুবে গেলো। এদের মধ্যে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের মরদেহ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের দুটি উপকূলে ভেসে এসেছে বলে দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া মিশরীয় এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত দুইটায় তারা ইউরোপের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন। প্রতিটি নৌকায় অন্তত ৮০ জন করে যাত্রী ছিল।

লিবিয়ার কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, বিগত ছয়দিনে নারী শিশুসহ অন্তত ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। একইসঙ্গে গত দুইদিনে রেকর্ড ৪৭টি নৌকা থেকে ১৬শ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূল অভিমুখে অভিবাসী ঢল বেড়েছে। এ বছরের এখন পর্যন্ত তিউনিসিয়া উপকূলে ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই আফ্রিকার নাগরিক বলেও জানানো হয়। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি উপকূলে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি।

সংবাদ সূত্রঃ এপি