ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে প্রিন্স হ্যারি এবং রাজপরিবারের দূরত্ব। দরবারে প্রিন্স হ্যারির আসন বণ্টনই হলো তার সর্বশেষ নজির। একটি সূত্র জানিয়েছে, বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম, তার স্ত্রী কেট মিডলটনসহ পরিবারের বাকি সদস্যরা যে সারিতে বসবেন, তার থেকে অন্তত ১০ সারি পেছনে বসতে হবে প্রিন্স হ্যারিকে। স্বেচ্ছায় রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়ার কারণে পেছনে বসতে হবে হ্যারিকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানার পরিচারক পল বুরেলের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আসন্ন ৬ মে’র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তার বাবা এবং ভাইয়ের দূরত্ব কমবে বলে মনে হচ্ছে না। বুরেল আরও জানিয়েছেন, এমনটাও হতে পারে যে, হ্যারি তার বাবার সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ পাবেন না।
পল বুরেল বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই দুই পক্ষের মধ্যে জ্বলা আগুন নিভবে বলে মনে হচ্ছে না। আমার ভয় হচ্ছে যে, সে (প্রিন্স হ্যারি) উইন্ডসর প্রাসাদ থেকে খুবই শীতল অভ্যর্থনা পাবে।’
প্রিন্সেস ডায়ানার এই পরিচারক আরও বলেন, ‘ডিউক অব সাসেক্স রাজকীয় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেবল মুখ রক্ষার্থে। তিনি সেখানে বেশিক্ষণ থাকবেন না।’
পল বুরেল আরও বলেন, বাবার রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিক আয়োজনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে ছাড়া একাই নিজ দেশে আসবেন হ্যারি। ‘তিনি (প্রিন্স হ্যারি) সেখানে আসবেন কেবল তার বাবা তাকে আসতে বলেছেন বলে। তার বাবা জেনে আনন্দিত হবেন যে, তার দুই ছেলেই তার জীবনের অন্যতম অবিস্মরণীয় দিনে উপস্থিত ছিল। তবে সেখানে হ্যারি খুব বেশি সময় কাটাবেন না।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান চলবে তিনদিন ধরে। তবে প্রিন্স হ্যারি সব আয়োজনে যোগ দেবেন না। তিনি কেবল রাজাকে মুকুট পরানোর অনুষ্ঠানের দিন হাজির হবেন। সবমিলিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় থাকতে পারেন।