কূটনৈতিক সম্পর্কে ফিরছে কাতার-আমিরাত, খুলছে দূতাবাস

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে পুনরায় দূতাবাস চালু করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানী দোহায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দু’দেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সহযোগিতাকে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে।

মাজিদ আল-আনসারি আরও বলেন, আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দু’দেশের দূতাবাস আবার খুলে দেয়া যাবে। কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের টেকনিক্যাল কমিটিগুলো এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে এবং শিগগিরই দু’দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলগুলো প্রয়োজনীয় সফর বিনিময় করবে।

রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক সক্রিয়করণে পুনরায় দূতাবাস খোলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এদিকে কাতারের আন্তর্জাতিক মিডিয়া অফিস আরেক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর ২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশগুলো কাতারের ওপর থেকে সাড়ে তিন বছরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়।

সৌদি আরব ও মিশর একই বছর কাতারের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলেও বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ কাজ করা থেকে বিরত ছিল।

সবশেষ গত সপ্তাহে বাহরাইন কাতারের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে একটি চুক্তি সই করে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতও একই ধরনের উদ্যোগ নিলো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে জোটবদ্ধ হচ্ছে। এক্ষেত্রে চীনের কূটনৈতিক কর্মকান্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এরইমধ্যে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি সৌদি আরব ও ইরানকে এক টেবিলে বসিয়েছে চীন। পাশপাশি এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছে দেশও দু’টি।

সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স